Reddit Marketing – রেডিট মার্কেটিং

Contents
আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব রেডিট মার্কেটিং নিয়ে।
রেডিট, নাম অনেকে শুনেছেন বা অনেকে হয়ত শুনেন নি। আমাদের দেশে এর ব্যবহার নেই বললেই চলে। আমরা যারা মার্কেটার, তারা রেডিট ব্যবহার যদি শিখি তাহলে আমাদের সেলস ও মার্কেটিং এর একটি ভাল প্রভাব ও ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারব এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ রেডিট হল, ট্রাফিক ও ইনফর্মেশনের ভান্ডার, রেডিট সামনে আসা ট্রেন্ডের ভান্ডার, রেডিট ঠিকমত ব্যবহার করতে পারলে, আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন, তা এক প্রকার নিশ্চিত করে বলা যায়।
আমরা যারা অফ পেজে এস ই ওর কাজ করি, তাদের কাছে সোশ্যাল বুকমার্ক ও ব্যাকলিংক একটি পরিচিত টার্ম। সোশ্যাল বুকমার্ক ও ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করার একটি সাইট হল এই রেডিট। এই সাইটের প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক থাকে, তাই এস ই ও অপ্টিমাইজারদের কাছে রেডিট খুব জনপ্রিয়।
আমরা অনেকেই রেডিটের ব্যপারটা ঠিক বুঝিনা বলে এড়িয়ে যাই। রেডিটের কাজগুলো আমরা বুঝিও না। অনেকের রেডিট নিয়ে কোন ধারণাই নেই। অনেকের কাছে এটি একটি হিজিবিজি প্ল্যাটফর্ম, যেটা অনেকের কাছেই ইউজার ফ্রেন্ডলি মনে হয় না। এর কারণ হল, আমরা ফেসবুক বা ইন্সটাকে এত ইউজার ফ্রেন্ডলি হিসেবে পেয়েছি যে রেডিট আমাদের কাছে জবড়জং লাগে। রেডিট আসলেই ইন্সটা বা ফেসবুকের মত অত সহজ না, এখানে সামান্য এদিকে সেদিক হলেই আপনি ব্যান খাবেন।
রেডিট আমাদের কাছে পরিচিত না হলেও বিদেশে বা আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে এর ব্যপকতা প্রচুর। রেডিটে ৬০-৭০ শতাংশ ইউজার আসে আমেরিকা থেকে। আবার ইউজারদের মধ্যে ৬০-৬৫ হচ্ছে মেইল ইউজার। তাই আপনি যদি পুরুষদের টার্গেট করে কোন কিছু বানান, রেডিটে একবার উঠতে পারলেই কেল্লাফতে! যাই হোক, আসল কথা হল, আপনি যদি কোন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে থাকেন তাহলে আপনাকে সব কিছুই ইউ এস মার্কেট বেইজে করতে পারলে আপনি সহজে লাভবান হবেন। এটা যারা কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল ইউজ করেন তারা ভাল বলতে পারবেন।
রেডিটকে আমরা মনে করি আমরা জাস্ট এ্যাকাউন্ট করে লিংক সাবমিট করলেই হাগার হাগার ট্রাফিক আসবে। আসলে রেডিটে এসব চলে না। রেডিটে আপনি ধুম করে একটা লিংক সাবমিট করলে হয়ত ব্যান খাবেন, বা সেই লিংক থেকে আপনার কোন লাভ হবে না।
আমি কিছু কন্টেন্ট রাইটিং এর সাবরেডিটে আছি। একটি সাবরেডিটে রুল হল আপনি যদি আপনার কোন লেখার মতামত জানতে চান, আপনাকে আগে আপনার লেখার সম পরিমাণ শব্দের গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে।
মনে করুন, আপনার লেখাটি ৫০০০ শব্দের , তাহলে সেই লেখার মতামত জানতে হলে আগে আপনাকে অন্য একটি লেখার সমালোচনা করতে হবে ৫০০০ শব্দে, ১ঃ১ অনুপাত আপনাকে মেনে চলতে হবে। আর তা না হলে আপনাকে লিচ বা জোঁক হিসেবে ধরে কিক আউট করে দেয়া হবে।
আমরা ফেসবুকে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্স দেখি তাদের লাইক, কমেন্ট , ফলোয়ার ও শেয়ারের সাইজ দেখে, তেমনি ভাবে রেডিটেও এটা মানা হয়। এর নাম কার্মা। রেডিটে আপনাকে টিকে থাকতে হলে কার্মা বাড়াতে হবে। যত কার্মা তত লাভ। কার্মা আমাদের ফেসবুকের লাইক কমেন্টের মত। আপনার কার্মা যত বেশি হবে, আপনার শেয়ারে তত ট্রাফিক আসবে, এমনকি আপনি কোন গার্বেজ টাইপ কন্টেন্টে শেয়ার করলেও।
কার্মা বাড়ানোর উপায় হল, এ্যাক্টিভ থাকা, কমেন্ট করা, শেয়ার করা, ও সেই শেয়ারে মানুষ যত ক্রাউড করবে আপনার কার্মা তত বাড়বে। কিভাবে কার্মা বাড়াতে হয় তা আপনাদের জানাব।
কার্মা বাড়িয়ে আপনি রেডিট এ্যাকাউন্ট সেল করে আর্নও করতে পারেন। ভাল কার্মাওয়ালা এ্যাকাউন্ট অনেক দামে সেল হয়, যাদের বেইজ প্রাইস প্রায় ১০০ ডলার।
রেডিট কোন এ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট না করে বা ইমেইল কনফার্ম না করেও ব্যবহার করা যায়, তবে আমার সাজেশন থাকবে সঠিক ভাবে এ্যাকাউন্টটা যেন ক্রিয়েট করেন।
এ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার সাথে সাথে আপনাকে একটি পোস্ট কার্মা দেয়া হবে, আর সেই সাথে একটি মেসেজ। রেডিট থেকে আসা সব মেসেজ ভালভাবে পড়ে নিবেন। কারণ সেখানে অনেক রুলস ও রেগুলেশনন্স বলা থাকে। যা না জানলে আপনার ব্যানড হবার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত।
এ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে সাথে সাথে লিংক সাবমিট করে দিই আমরা, যা মোটেও করা উচিৎ না। রেডিটে আপনাকে লিংক সাবমিট করতে হলে কমপক্ষে আপনার কমেন্ট ও পোস্ট কার্মা ১০০+ থাকতে হবে।
এর নিচে থেকে লিংক দিলে সেই লিংক আপনার কোন কাজে আসবে না।
আবার রেডিটের আন্ডারে অনেক সাবরেডিট থাকে, সাবরেডিট ফেসবুক গ্রুপের মত। প্রতিটা সাবরেডিটের আলাদা আলার রুল থাকে। সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
সামনের পোস্টে জানাব, সাবরেডিটের কাজ ও কিভাবে কার্মা বাড়াবেন।
বিঃদ্রঃ Tech Makki এর রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশেষ ইন-হাউজ এক্সপার্ট টিম। আপনার ফেসবুক মার্কেটিং, ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং , ভিডিও এডিটিং, ও ইউটিউব মনিটাইজ রিকোয়ার্মেন্ট ফিলাপ করার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার সেবায় আমাদের চোখ ২৪*৭ খোলা