৩ টা ব্যাপার যা সব ব্লগারকে জানতে হবে।

৩ টা ব্যাপার যা সব ব্লগারকে জানতে হবে।
ব্লগিং শুরু করার পুর্বে আপনাকে যা যা জানতে হবে এর মধ্যে অন্যতম তিনটা ব্যাপার নিয়ে এখানে আলোচনা করব। এখানের তিনটা জিনিস আপনি মোটে ও ইগনোর করতে পারবেন না।
১। আপনি পাবলিকলি লিখছেনঃ
আমরা সারাজীবন ক্লাসের খাতায় লিখেছি যা আমাদের স্যার এবং সহপাঠীদের মাঝে সীমাবদ্ধ, এর বাইরে কেউ দেখে না। আমরা অনেকেই প্রাইভেট জার্নাল লিখি কিংবা আপনি আপনার অফিসের জন্য জরুরি কোন ডকুমেন্ট তৈরি করলেন।
এই সবগুলো ক্ষেত্রেই আপনার অডিয়েন্স খুবই ক্ষুদ্র।
কিন্তু ব্লগিং এ আপনার লেখা উন্মুক্ত। মনে রাখবেন, আপনি লিখছেন পুরো পৃথিবীর জন্য। আপনার নিশ নিয়ে এই বিশ্বে যাদের আগ্রহ আছে তাদের সব জন্য।
পাবলিকলি লেখার সাহস আপনাকে অর্জন করতে হবে, এটাই হচ্ছে মুল কথা।
২। আপনার ব্লগের জন্য আপনিই দায়ীঃ
রেসপন্সিবিলিটি বলে একটা কথা, এবং আপনার ব্লগের জন্য আপনিই রেসপন্সিবল। আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে এমন কোন মেসেজ দিতে পারবেন না, যা নৈতিকতা বহির্ভুত।
এখানে লিগাল ব্যাপার রয়েছে, সব ধরনের ঝামেলা থেকে নিজে বাচতে এবং নিজের ব্লগকে বাঁচাতে আপনাকে গুগলের কন্টেন্ট পলিসি পড়ে নিতে হবে।
কপি কন্টেন্ট কখনোই ইউজ করা যাবে না, অন্যান্য কন্টেন্ট স্টাডি করে নিজের মতো করে নিজের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।
৩। সৎ হতে হবেঃ
আমরা সব সময় বলি, ব্লগিং এ আপনাকে নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে। আসলে এখানে শুধু নিজের প্রতি সৎ থাকাটাই এনাফ নাহ।
ব্লগিং এর সফলতা কোথায় জানেন?
অডিয়েন্সের ট্রাস্ট অর্জন করা, ওটা অর্জন করলেই তো আপনার রিভিউ করা প্রোডাক্ট তারা কিনবে কিংবা আপনাকে বুকমার্ক করে রাখবে।
ট্রাস্টটা কীভাবে অর্জিত হয় চিন্তা করেছেন? এটা কোন সফটওয়্যার কিংবা টুলস দিয়ে তৈরি করা যায় না।
তিল তিল করে গড়ে উঠে, আর সেটা একমাত্র সম্ভব যখন আপনি সৎ থাকবেন তখন।
আপনি এমন কিছু ইনফো আপনার অডিয়েন্সের সাথে শেয়ার করবেন যার ফলে তারা সত্যিই উপকৃত হচ্ছে। ফলে আপনার ব্লগের প্রতি আপনা আপনি তাদের ট্রাস্ট বেড়ে যাবে।
আর এই জন্য আপনাকে সব সময় ওয়েল রিসার্চড কন্টেন্ট প্রভাইড করতে হবে।
ধন্যবাদ