স্বল্প টাকায় ও স্মার্ট মার্কেটিং প্ল্যানে শুরু হোক প্রিন্টিং বিজনেস
স্বল্প টাকায় ও স্মার্ট মার্কেটিং প্ল্যানে শুরু হোক প্রিন্টিং বিজনেস
ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী সবারই লাগে ভিজিটিং কার্ড। নিজের পরিচিতি বাড়াতে ভিজিটিং কার্ডের জুড়ি নেই।
বিভিন্ন পেশার মানুষের এই চাহিদাকে পুঁজি করেই করা যায় ভিজিটিং কার্ডের ব্যবসা। বছরের বারো মাসই ব্যবসা থাকে রমরমা। নয়াপল্টন এবং কাঁটাবন এলাকায় গড়ে উঠেছে ভিজিটিং কার্ডের ব্যবসার দোকান।
এ ব্যবসায় ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের চাহিদার কথা জেনে সঠিক সময়ে কার্ড ছাপিয়ে সরবরাহ করা গেলেই এ ব্যবসায় সুনাম অর্জন করা সম্ভব। ‘ বলছিলেন নয়াপল্টন এলাকার ভিজিটিং কার্ড ব্যবসায়ী সাইফুল হোসেন।
⛳ শুরু হোক ব্যবসা
ব্যবসা শুরু করার জন্য ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পুঁজি দরকার। দেড় শ বর্গফুট একটি দোকান হলেই চলবে।
লোকজনের সমাগম হয় এমন জায়গায় সাধারণত ভাড়া বেশি দিতে হয়। ব্যবসার জন্য কম্পিউটার, লেজার ও কালার প্রিন্টার, স্ক্যানার প্রয়োজন। কাজে সহযোগিতার জন্য একজন লোক রাখলেই যথেষ্ট। অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা উচিত। ‘সব ক্রেতার পছন্দ এক রকম নয়। ভিজিটিং কার্ড ছাপানোর ব্যবসায় ব্যবসায়ীকে সৃজনশীল হতে হবে। গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা থাকলে ভালো হয়। যার কাছে বেশি পরিমাণে আকর্ষণীয় সব কার্ডের ডিজাইন থাকবে তার কাছেই ক্রেতার ভিড় বেশি হবে। ব্যবসার জন্য বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্ডার নিয়ে কার্ড ছাপালে। এতে ব্যবসায় ঝুঁকির পরিমাণ কমে যায়।
⛳ কিভাবে তৈরি হবে কার্ড
গ্রাহকের চাহিদার ওপর নির্ভর করে কার্ডের ডিজাইন ও প্রিন্ট। কম্পিউটারে ডিজাইন করে ট্রেসিং পেপারে বসিয়ে চাহিদামতো কাগজে প্রিন্ট করলেই তৈরি হয় ভিজিটিং কার্ড। পরে সাইজমতো কাটার মেশিন দিয়ে কেটে গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করা হয়।
মানি রিসিট এবং প্যাডও এই প্রক্রিয়ায় তৈরি করে একই দোকান থেকে বিক্রি করে অতিরিক্ত লাভ পাওয়া যায়। কার্ডের জন্য ভালো মানের কাগজ দিতে হবে। আজকাল প্লাস্টিকের ভিজিটিং কার্ডও তৈরি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে খরচ ও সময় দুই-ই বেশি লাগে।
প্রিন্টিং এর এই সকল ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে একটি ভালো প্রিন্টিং প্রেস এর সাথে কর্পোরেট চুক্তি করে তাদের দিয়ে সব কাজ পাইকারি রেট এ করে নিতে পারবেন । ঢাকার ফকিরাপুল এ রকম অনেক ভালো প্রিন্টিং প্রেস আছে । তারা খুব কম রেট এ আপনাকে কাজ করে দেবে ।
নিচে আপনাদের সুবিধার্তে আমাদের পরিচিত একটি প্রিন্টিং হাউস এর ঠিকানা দেয়া হলো । আপনি তার সাথে যোগাযোগ করে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন ।
⛳ ঠিকানা : প্রিন্টার্স , নাম : মোহাম্মদ , মোবাইল : ০১৯১৪-০****৮ , স্থান : 04, ফকিরাপুল।
এই রকম আরো প্রিন্টিং প্রেস আছে , একটু ফকিরাপুল ঘুরলেই ভালো মতো বুঝতে পারবেন । তার পর নিজের অবস্থা একটু ভালো হলে নিজেই মেশিন কিনে বিজনেস করতে পারবেন ।
মেশিন কিনতে মেশিন এর অবস্থা বুঝে ৮ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে । কারণ আপনাকে প্রিন্টিং মেশিন এর পাশা পাশি কাটিং মেশিন কিনতে হবে । প্লেট পসিটিভ বাইরে থেকে করে নেয়া ভালো ।
⛳ ব্যবসার প্রচারণা
সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা ছাড়াও স্বাধীন ব্যবসায়ীরা কার্ডের অন্যতম ক্রেতা। নিজেদের ব্যবসা প্রচারণার জন্যই তাঁদের ভিজিটিং কার্ডের প্রয়োজন হয়। এসব ব্যবসায়ীর পাশাপাশি বিভিন্ন করপোরেট হাউসে গিয়ে কাজের অর্ডার নিয়ে আসা যায়। প্রতি মাসে প্রচারণার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খরচ করলে ভালো হয়।
এর জন্য লিফলেট ছাপানো যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজেদের কার্ডের স্যাম্পল নিয়ে যেতে হবে কাজের অর্ডার নিয়ে আসার জন্য। প্রচারণাটা দরকারি। একবার ব্যবসার সুনাম ছড়িয়ে পড়লে প্রচারণার খরচ কমে যায়।
⛳ লাভ কেমন :
এ ব্যবসায় লাভের পরিমাণ ভালো। প্রতি মাসে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আবার অবস্থা বুঝে ২-৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
? আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি যদি আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে ।