সামান্য পুঁজিতে অনলাইন ট্যুরিজম ব্যবসা

সামান্য পুঁজিতে অনলাইন ট্যুরিজম ব্যবসা
বাংলাদেশ সরকার বর্তমান বছরকে পর্যটন বর্ষ ঘোষনা করেছে। এছাড়া পর্যটন এর উন্নয়নে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকারের বেশ কিছু বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রয়েছে। ই কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য ভ্যাট মওকুপসহ রয়েছে বেশকিছু সুযোগ সুবিধা। আপনি একা বা ৩-৪ জন মিলে এই বিজনেস টা শুরু করতে পারেন । ৩-৪ জন মিলে শুরু করতে পারলে খুব দ্ৰুত রেজাল্ট পাবেন ।
ট্যুরিজম ব্যবসার জন্য আমাদের দেশের ভ্রমন উপযোগী বিভিন্ন স্থানের ডাটা কালেক্ট করে, ভাল ছবি তুলে ওয়েবসাইট দাড় করানো। তারপর ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরের বিশ্বের ও নিজের দেশের সকলের কাছে তুলে ধরা। পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল এবং বাংলাদেশী ট্যুরিজম কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করা। এককথায় নিজের ফিজিক্যাল এক্সিস্টেন্স না থেকেও “মিডল ম্যান” হিসেবে কাজ করা। বিস্তারিত নিচে দেখুন ।
? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা:
এটা ইতোমধ্যে খুব জনপ্রিয় ব্যবসায় বা পর্যটন হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল কোম্পানী বিভিন্ন ভ্রমণপ্যাকেজ বানিয়ে ফেসবুকে শেয়ার করে, এড দিয়ে, ইভেন্ট করে গ্রুপ ট্যুরের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে ফেসবুক নির্ভর পর্যটন ব্যবসায় ডোমেস্টিক ট্যুরিজমের পালে বেশা হাওয় লেগেছে।
? ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট দ্বারা:
যে কাজটি ফেসবুকের মাধ্যমে করছেন। ঠিক এই কাজটি আরো সুন্দরভাবে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা সম্ভব। এবং এখন আপনি বিকাশে টাকা নিচ্ছেন তখন বাড়তি সুবিধা হবে আপনি অনলেইনে পেমেন্ট দিতে পারবেন। দ্যূরদর্শী কোম্পানীগুলো ইতোমধ্যে এটা শুরু করে দিয়েছে।
? বাসের টিকেট বুকিং:
আপনারা জানেন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি কোম্পানী অনলাইনে টিকেট বিক্রি করে থাকে। তারা কিন্তু শুধু টিকেটের ব্যবসায় করছে তা নয়। তারা কিন্তু ট্যুরিজম রিলেটিড সার্ভিস দিচ্ছে। যেমন: বিডিটিকেটস।
? এ্যফিলিয়েটেড ও থার্ড পার্টি হিসেবে হোটেল বুকিং:
হোটেল বুকিং কাজে দালালী করা একটি পুরনো ও ভালো ব্যবসায়। অনলাইনের যুগে এই ব্যবসায় বহুমাত্রায় বিকশিত হয়েছে। কেউ এ্যফিলিয়েটিড মার্কেটিং এর মাধ্যমে হোটেল বুকিং দিয়ে টুপাইস কামিয়ে নিচ্ছে। কেউ নিজেরা থার্ডপাটি হিসেবে বিভিন্ন হোটেল একজায়গা থেকে বুকিং দিয়ে কমিশন ব্যবসায় করছে।
? এয়ার টিকেট বুকিং:
এই ব্যবসায়টি অনলাইনে খুব খান্দানী ও বেশ পোক্ত। কিন্তু এখানে প্রচুর বিনিয়োগ এর প্রয়োজন বলে অনেকেই এটা করতে পারে না। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান অনলাইনে টিকেট বুকিং দিয়ে থাকে। তাদের বুকিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করলে অনায়াসে যেকেউ শুধুমাত্র ইন্টারনেট কানেকশান নিয়েই এই ব্যবাসায় করতে পারেন। কোনো বিনিয়োগ ছাড়া।
? কম্যুউনিটি ট্যুরিজম:
এটা হলো কোনো একটি এলাকার জনগনকে সম্পৃক্ত করে একটি কমিটির মাধ্যমে সে এলাকায় পর্যটকদের জন্য নানাবিধ সেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করে নিজেদের কিছু আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করা। কাজটি সারাবিশ্বে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেকেউ চাইলে এলাকায় একটি সংস্থা গঠন করে ওয়েবসাইট খুলে অনলাইনে ব্যবসায় করতে পারবেন। এভাবে অনলাইনে পর্যটনকে সার্বজনীন করার সুযোগ রয়েছে।
? আপনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি যদি আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিতে আপনারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন এবং সেই সাথে আপনার একটি শেয়ার হয়তো আপনার নিকটস্থ কারো জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দিতে পারে । আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে ।