লেখকদের জন্য কিছু ইনকামের সিস্টেম এবং কিছু টিপস

লেখকদের জন্য কিছু ইনকামের সিস্টেম এবং কিছু টিপস
যাদের লেখালেখির হাত ভাল বা লিখতে ভালবাসেন বা কনটেন্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে নিতে চান তারা এফিলিয়েট মার্কেটিং বা গুগল এডসেন্সের দিকে ধাবিত হতে পারেন। Amazon কিংবা Clickbank এর মত মার্কেট প্লেসগুলির প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে এফিলিয়েট কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জনের ভাল সুযোগ রয়েছে। তবে টাকার কথা শুনেই এটার পিছনে হুট করে নেমে পড়বেন না। কনটেন্ট রাইটিং পেশার সাথে সৃজনশীলতার সম্পর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কনটেন্ট রাইটিং পেশায় যদি আপনি নামতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখার অভ্যাস করতে হবে। যাদের এই পেশায় আগ্রহ আছে তারা এখন থেকেই প্রতিদিন একটি বা দুটি করে পোস্ট লিখার অভ্যাস তৈরি করা উচিৎ। যতকিছুই বলি না কেন আমাদের প্রত্যেকের দক্ষ হবার পিছনে একটাই উদ্দেশ্য টাকা উপার্জন করা কিন্তু এটার জন্য আপনাকে চূড়ান্ত দক্ষ হয়ে ফিল্ডে নামতে হবে। এফিলিয়েটে আপনি দুই ধরনের কন্টেন্ট লিখতে পারেন, একটা হলো টিউটোরিয়াল ভিত্তিক এবং অপরটি হলো প্রোডাক্ট রিভিউ। টিউটোরিয়াল ভিত্তিক কনটেন্ট প্রোডাক্ট রিভিউ এর চেয়ে কিছুটা জটিল কারণ এর জন্য আপনাকে একটি বিশেষ কাজে পুরো দক্ষ হতে হবে। যেমন একটি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় কিংবা সাজাতে-গোছাতে হয় এটার উপর টিউটোরিয়াল দিতে পারেন তবে এর জন্য আপনাকে এটির উপর পূর্ণ দক্ষ হতে হবে কিংবা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এদিক থেকে প্রোডাক্ট রিভিউ অপেক্ষাকৃত সহজতর এবং এর জন্য আপনার বিশেষ কোন দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই তবে এটার জন্য আপনাকে যা করতে হবে ঐ প্রোডাক্টটি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান রাখতে হবে। মানে প্রোডাক্টটির সুবিধা-অসুবিধা,ফিচার বা বৈশিষ্ট্য গুলি সম্পর্কে লিখতে হবে, মানুষ কেন ঐ প্রোডাক্ট ব্যবহার করবে কা কিনবে তার স্বপক্ষে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে। আর এই প্রোডাক্ট আপনি গুগল সার্চ করেই পর্যাপ্ত তথ্য আরোহণ করে নিতে পারেন। যেমন আপনি ক্যামেরা নিয়ে লিখতে চান তাহলে আপনাকে যা করতে হবে একটি নির্দিষ ব্র্যান্ডের ক্যামেরার ব্যাপারে এ টু জেড তথ্য জেনে বা স্টাডি করে নিজের ভাষায় লিখতে হবে। তবে ভুল করেও কপি-পেস্টের দিকে যাবেন না তাহলে ধরা খেতে হবে। আমাদের বাঙ্গালিদের আবার কপি-পেস্টের প্রতি অনেক প্রেম-ভালবাসা। তবে আপনি চাইলে বাংলা ভাষায় কনটেন্ট লিখেও এফিলিয়েটের দিকে ধাবিত হতে পারেন। ইদানিং দারাজের মত কিছু বাংলাদেশি কোম্পানিও তাদের ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট করার সুযোগ দিচ্ছে।
তবে মূলকথা হলো আমরা যাই করতে চাই না কেন এর জন্য যথাযথ বা পর্যাপ্ত স্টাডি,গবেষণা বা গুগল সার্চিং করে জেনেবুঝে শুরু করতে হবে। গ্রুপে নিয়মিত মেম্বারগণ এখন বেশ পরিপক্ব উনারা চাইলে যেকোন বিষয়ে আগের চেয়ে খুব তাড়াতাড়ি বা সহজে ধারণা নিয়ে নিতে পারেন। কনটেন্ট রাইটিং নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে তারা প্রত্যেকে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে প্রোডাক্ট রিভিউর উপর পোস্ট লিখার অভ্যাস তৈরি করা উচিৎ। একদম প্রতিদিন লিখার অভ্যাস করুন এবং এতে কোন ধরনের অজুহাত দেখাবেন না। আপনার লিখার উন্নতি আপনি নিজেই টের পাবেন যখন দেখবেন যে, যেকোন বিষয় নিয়ে যেকোন মুহূর্তে বা পরিস্থিতিতে হুট করেই ২০০/২৫০ শব্দের একটি সামারি লিখে ফেলতে পারেন অনায়াসেই। যাইহোক আসুন আমরা সবাই প্রতিদিনই কিছু না কিছু লিখার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই।