ফ্রিলান্সার হতে গেলে কি কি লাগবে?

ফ্রিলান্সার হতে গেলে কি কি লাগবে?
নতুনদের খুব কমন একটি প্রশ্ন । আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আশা করি এই পোস্টটি আপনার কাজে লাগবে । বর্তমানের হট টপিক হলো ফ্রিলান্সিং বা আউটসোর্সিং। এই ফ্রিলান্সিং নিয়ে চলছে রমরমা ব্যাবসা । আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বাংলাদেশের আনাচে কানাচের এত এত আইটি ফার্ম এবং ইন্সটিটিউটের ভিন্ন ভিন্ন জাকজমক টাইটেল দেখে থমকে যেতে পারেন । আসলেই কি এত এত টাকা ইন্টারনেট থেকে আয় করা সম্ভব ? হা আপনি যদি যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে আনলিমিটেড একটা আরনিং সোর্স আপনার হতে পারে । কিন্তু ভুলেও তাদের রমরমা টাইটেলের ফাদে পা দিবেন না। কেও যদি বলে যে আপনাকে ৩ মাস বা ৪ মাস পরে লাখ লাখ টাকা ইঙ্কাম করিয়ে দিবে তাহলে মনে করবেন কোন ঘাপলা আছে । আর কি বলবো দুঃখের কথা ! বর্তমানে ত ১ সপ্তাহে ও ফ্রিলান্সার বানানো হয় । আরে ভাই থামেন ! ফ্রিলান্সিং হাতের মুয়া না যে নিলেন আর মুখে দিলেন । আমি এটাই বুঝাতে চাচ্ছি যে , ফ্রিলান্সিং হল সাধনার ব্যাপার ।ভালো কোন কিছু পেতে হলে অবস্যই অনেক সাধনা করতে হয় । ফ্রিলান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ও তাই । যারা নতুন আছেন তাদের খুব কমন একটা প্রশ্ন হল ভাই আমি কি ফ্রিলান্সিং করতে পারবো বা আমাকে দিয়ে কি হবে ?যদি নিচের কথা গুলো আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় তাহলে আমি বলব আপনাকে ফ্রিলান্সিং য়ে স্বাগতম।
ব্যাসিক আসবাবপত্র আরও অন্যান্যঃ
এক জন ফ্রিলান্সার হতে গেলে আপনার প্রথমত ব্যাসিক কিছু জিনিস লাগবেই, তার মধ্যঃ
পর্যাপ্ত সময় প্র্যাকটিসের জন্য
একটা ভাল কনফিগারেশনের কম্পিউটার
সব সময় সচল ইন্টারনেট কানেকশন
কিছু ত্যাগের অভ্যাস
যদি সিগারেটের অভ্যাস থাকে তাহলে ১ প্যাকেট প্রতি রাতে (মজা করলাম)
অতিরিক্ত প্ররিশ্রমের অভ্যাস
ইংলিশে ভালো স্কিল
মানুষকে পটানোর ক্ষমতা
পর্যাপ্ত প্র্যাকটিসের অভ্যাস থাকতে হবে, বাহিরের জগতকে ভুলে যান , সুসময়ের বন্ধু সবসময় পাবেন কিন্তু আপনার বিপদে কেউ থাকবে না এটাই তো হয়, তাই যতটুকু দেখে শিখবেন তার চেয়ে হাজারগুন বেশি প্র্যাকটিস করুন হয়ে জাবেন একটা সময়।।
ফ্রিলান্সার হতে চাইলে এখনি শপথ করুনঃ
প্রথমেই ধৈর্যঃ
আমার অনেক ধৈর্য রয়েছে এবং আমি নতুন কিছু শিখতে শুরু করলে শেষ করে ছারি ইনশা-আল্লাহ । আমি এর শেষ দেখেই ছারবো যাই হোক । ফ্রিলান্সিংয়ে ধৈর্য এর কোন বিকল্প নেই ।
ক্যারিয়ার বা লক্ষঃ
আমি আমার ক্যরিয়ার গড়তে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে রাজি আছি । এবং এবশ্যই আমি আমার ক্যরিয়ারকে ভালোবাসি । কোন কিছুর প্রতি ভালোবাসা থাকলে তা অর্জন সহজ হয় ।
পছন্দ ও অপছন্দঃ
আমার কম্পিউটারটি আমার পছন্দের । আমার কম্পিউটারকে আমি ভালোবাসি এবং লংটাইম কম্পিউটারে বসে থাকতে পারি । আপনার যদি এরকম হয় যে কম্পিউটারে বসলেই মনোযোগ থাকে না , মাথা ব্যাথা করে , গা চুলকায় ।তাহলে আমি বলবো ভাই আপনার কম্পিউটার রিলেটেড কোন কাজে আশা উচিৎ না ।
আস্থা ও বিশ্বাসঃ
আপনার নিজের উপর আস্থা বা ভরসা থাকতে হবে । আসলে মানুষের ইচ্ছাটাই সবকিছু ।তাই আপনার প্রখর ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে । নিজের উপর যদি আপনার নিজের আস্থা না থাকে তাহলে আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন না । তাই নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে শিখুন । আপনি যদি এরকম হয়ে থাকেন তাহলে আমি শিওর আপনি পারবেন । নিজের লক্ষটা ঠিক করুন এবং ঝাপিয়ে পরুন।।