প্রিন্সিপাল ম্যাম যখন গার্লফ্রেন্ড (Part-1)

Contents
প্রিন্সিপাল ম্যাম যখন গার্লফ্রেন্ড (Part-1)
প্রিন্সিপাল ম্যাম যখন গার্লফ্রেন্ড (Part-2)
– আগের যুগের মানুষ সকালে উঠে,
বিড়ি টানতে টানতে টয়লেটে যাইতো,
বিড়ি ছাঁড়া নাকি তাঁদের টয়লেটের
মধ্যে একলা একলা লাগে।
বাট….. আমি ও ঠিক সেইম
প্রবলেম।
তবে আমি টানতে টানতে যাই না গুতাইতে গুতাইতে যাই।
আসলে মানে, আমার আবার টলেটের
মধ্যে মোবাইল না ঘুতাইলে,
কেমন একলা একলা লাগে।
এটাতেই বোঝা যায়, যুগের কতটা
পরিবর্তন এসেছে।
টানা থেকে সোঁজা গুতানো।
বিড়ি টানতে টানতে কোন কোন সময়
টুপুস করে নিচে পড়ে যেত।
সেটাতে তেমন কষ্ট লাগতো না,
কারণ পকেটে তো আরো আছে।
তবে আমি তো টানি না, আমি তো
গুতাই তাই আমার প্রবলেম টা ও
একটু উচ্চমানের।
টানতে টানতে যেই হাঁড়ে বিড়ি নিচে
পড়ে।
তাঁর থেকে একটু কম হাঁড়ে,
গুতাইতে গুতাইতে আমার ফোন
নিচে পড়ে।
এই দিকে মোট চারটা ফোন
আমার শহীদ হয়ে গেছে।
আব্বার ন্যাকানি, চুবানি, ক্যালানি
খেঁয়ে আজ পাঁচ নাম্বারটা নিয়ে
টয়লেটে যাচ্ছি।
খুব সাবধানে আছি।
আর হ্যা আমি কিন্তুু টয়লেটে বসে
বসে কারো সাথে চ্যাট করি না বা
দুষ্টু দুষ্টু ভিডিও দেখি না।
আমি তো খালি গেমস্ খেলি।
যাই হোক….. শারীরিক, মানসিক,
দৈহিক, প্রেসারিক সব কিছু মিলিয়ে
একটা শান্তি শান্তি মনোভাব নিয়ে
গেমস্ খেলছিলাম।
গেমস্ খেলতে খেলতে ভুলেই
গেছি যে আমি টয়লেটের মধ্যে আছি।
গেমস্ এর উত্তেজনা আর শারীরিক
চাপে…
আমার পাঁচ নাম্বার ফোনটা ও শহীদ
হয়ে গেলো।
আগের চারটার শোকই ভুলতে পারি
নাই।
এর মধ্যে পাঁচ নাম্বারটা ও শহীদ
হয়ে গেলো।
এবার আমি কেমনে থাকমু
একা একা।
টয়লেটের ভেতর থেকে এসে,
রুমের মধ্যে শুয়ে আছি।
– আবির… খেতে আয় (মা) ।
– হুমমমমম… আসতেছি।
খাবার টেবিলে এসে বসলাম,
আব্বা আগে থেকেই ছিলো।
– কীরে এমন উদাস হয়ে আছিস
কেন… (আব্বা)।
– আমি কী কবি জসিমউদ্দিন যে
উদাস হয়ে থামকু।
– জসিমউদ্দিন তো দূরের কথা,
আমাদের বাসাই দুধ দিয়ে যায়
জসিম, তার যে একটা দাম আছে,
তোর তো সেইটা ও নাই।
এবার এত কথা বাদ দিয়ে আসল
ঘটনা বল।
এমন উদাস হয়ে থাকার কারণ কী….? (বাবা)
– আসলে মানে আব্বা, উত্তেজনা, চাপ
সব একত্রিত হয়ে পাঁচ নাম্বারটা ও
শহীদ হয়ে গেছে।
– সেটা তো আমি আগেই বুঝছি ,
যখন দেখছি তোর হাতে ফোন
নাই। নতুন ফোন পেঁয়ে তো খুব ভাব
হইছিলো দুই দিন, নিজের বাপের
সাথে বসে যে খাস সেইটা ও তো
ভুলে গেছিলি …
এবার কী করবি শুনি….?
ভার্সিটির লাস্ট সেমিস্টার
যেদিন শেষ করতে পারবি সেদিন
নতুন ফোন পাবি।
আমার ড্রয়ার এর মধ্যে পুরনো
নোকিয়া যেই ফোনটা আছে ততদিন
ঐটাই ব্যাবহার কর।
এর আগে ফোনের জন্য একটা টাকা
ও পাবি না।……..(বাবা)
– হুমমমমমম….. হাতি গর্তে
পড়লে সবাই এমন একটু মজা নেই।
– হাতি আবার তুই…. তিন বছর
থেকে তো একটা সেমিস্টারেই পড়ে
আছিস। আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয়
জঙ্গল থেকে একটা গাধা
ধরে এনে যদি তাকে পড়ানো হত,
সে ও তিন বছরে পাস করতো।
আরো যে তিন বছরে পাস করতে
পারবি না, সেটাতে আমি
সিওর।
আর পাস না করতে পারলে ফোন
ও পাবি না,
এবার অন্তত ফেনের জন্য পর…..(বাবা)
– হুমমমমমম…. এবার যাও, অফিসের
লেট হয়ে যাচ্ছে।(….মা)
এক সেন্টার গেলো।
একটু পরে আরেক সেন্টার চালু হলো।
– তুই কী হুমমমমমম… তোর মধ্যে
কী কেন কিছু নেই,
এই দিকে চার চারটা ফোন এমন
করে টয়লেটের মধ্যে ফেলে দিলি,
কিছু দিন আগেই এত্ত গুলো টাকা
দিয়ে আবার নতুন একটা ফোন নিয়ে
দিলো, টাকা গুলো তো আর এমনি এমনি আসে
না। আমাদের কথা তো একবার ভাবতে পারতি
তাই না…এত্ত গুলো টাকা, তোর
কী কোনই চিন্তা হয় না…
আর তোকে এত কথা বলেই হবেটা
কী, কোন কথাই তো তোর কানে যায় না……(মা)
– ওহহহহহহ আচ্ছা তোমাদের কথা ভাবি,
সেই জন্যই তোআর কোন ফোন
নিতে চাই নাই,
আব্বা তো এমনি এত্ত গুলো জ্ঞান
দিয়ে গেলো।
– আচ্ছা ফোন না হয় গেছে,
এবার তো একটু ভালো করে পড়ে
ভার্সিটিটা শেষ কর।……..(মা)
– মা….. তোমরা এমন এক লাইন ধরে
যেতে যেতে অন্য লাইনে পার হও ক্যান
বলতো…।
– ঠিকআছে…. এবার তো ফোন
নাই… এখন কী নিয়ে টয়লেটে যাবি….( মা)
– কেনো… ল্যাপটপ নিয়ে যামু।
তাহলে আর পড়ার কোন ভয় থাকবে না।
– তুই আমার সামনে থেকে যা,
তোর এই সব আর আমার সহ্য হয় না….(.মা)
– ঠিকআছে, গেলাম।
আবার সেই বাটন ফোনটা নিয়ে
কলেজে যাইতেছি।
হায়রে কপাল….
আজ থেকে আট বছর আগে এই
বাটন ফোনটা ইউজ করতাম।
আবার আজ আট বছর পরে এই
বাটন ফোনটাই আমার হাতে ফিরে
আসলো।
ভাই তুই আমার আপন, তুই
আমার বিপদের সঙ্গী।
এই আট বছর আমাকে ছাঁড়া
না জানি কত একলা একলা ড্রয়ারের
মধ্যে পড়ে আছিলি।
আই লাভ ইউ।
তোরে আর একলা থাকতে দিমু
না,
এই যে আমি চইলা আসছি এবার একটু
ওপেন হয়ে যা।
কিন্তুু এ ও মনে হয় এত দিনে শহীদ
হয়ে গেছে।
আর ব্যাটারিটার পেঁটের মধ্যে
মনে হয় বাচ্চা জন্ম নিছিলো,
বাচ্চাটা ডেলিভারি না দিতে পেরে
আমার আদরের ব্যাটারিটা ও
মনে হয় গেছে।
আর দেরি করাটা ঠিক হবে
না এদের এক্ষুনি হাসপাতালে
নিয়ে যেতে হবে।
হাসপাতালে নেওয়ার পরে,
মোবাইলটাকে বাঁচানো গেলে ও
ব্যাটারিটাকে বাঁচানো যায়নি।
যাই হোক মোবাইলটা বাঁচছে
এটাই অনেক।
কলেজে মাঠে ব্যাগটা মাথাই
দিয়ে শুঁয়ে আছি।
– হায় হায় মামা তোর কী হইছে,এমন
চিরপটাং হয়ে শুয়ে আছিস কেনো (রাজু) ।
– আর বলিস নারে ভাই..আমাগো
দুর্ঘটনা ময় টয়লেটে আবার কাহিনী হয়ে
গেছে।
– কীইইইই….. মানে সেইদিন যেই
নতুন ফোনটা কিনলি সেইটা ও
টয়লেটে ফেইলা দিছিস।
– হুমমমমমম।
– তোর বাপ হয়ে তোরে এখন ও বাড়িতে
রাখছে রে ভাই… আমার বাপ হলে
আজকেই বাড়ি থেকে বের করে দিতো।…..(রাজু)
– আমার বাপ কী আর মোরে শখে
এই বাড়িতে রাখছে,
নেহাত আমি বংশের একমাত্র পোলা,
আমার বাপের যদি অন্য আর একটা
ছেলে থাকতো ,
কবে যে মোরে লাত্থি দিয়ে বাড়ি ছাঁড়া
করতো রে ভাই।
– হয়… এইটা ঠিক কইছস (রাজু)
– যাই কই না ক্যান,
এইবার অন্তত পাসটা করা লাগবো,
আমার ছোট গুলা ভার্সিটি পাস
চাকরি করতেছে, কেউ কেউ
তো বিয়ে করে বাচ্চার বাপ হইছে।
– এই জিনিসটাই যদি আর তিন বছর
আগে বুঝতি, তাইলে আজ তোর
ও বউ বাচ্চা থাকতো……(রাজু)
– আমি কী আর শখে ফেল করি,
কোন না কোন কাহিনী তো আল্লাহ্
কপালে লিখেই রাখছে ,
তাই তো প্রতিবছর এমন ফেল মারি।
– তাইলে মামা এখন থাক,
আমার ক্লাস আছে।
– হুমমমমমম…. আমি ও যামু আমার ও
ক্লাস আছে।
ক্লাস রুমে বসে আছি…
স্যার আসলো।
– আরে বাহ্ আবির …তুমি
হঠাৎ ক্লাসে মানে।
শরীর খারাপ নাকি……?….(স্যার)
– না স্যার, এই বার তো
আপনাদের ছেঁড়ে চলেই যাবো,
তাই ভাবছিস যে কয়দিন আছি
আপনাদের সাথে একটু দেখা
সাক্ষাৎ করি,
আবার কোনদিন না কোনদিন দেখা
হয় তাই আর কী?
– বাহ্ বাহ্ ভালো, তো বাবা তিন
বছর থেকে তো একই চেষ্টা করতেছো,
এইবার কী পারবা।…..(স্যার)
– সব কিছু তো স্যার আপনাদের
হাতে,
আপনারা সবাই আমাকে এত
ভালোবাসেন যে আমাকে ছাঁড়তেই চান না।
এই বার যদি আমার উপর থেকে মায়া
ত্যাগ করে পাস করিয়ে দেন তাহলেই
পারবো স্যার।
– ঠিকআছে… বসো।
ক্লাস শেষ করে বারান্দার
দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি ।
হঠাৎ পিয়ন এসে বললো।
– এই যে আদুভাই..ভার্সিটিতে নতুন
পিন্সিপাল আসছে,
তোমার সাথে দেখা করতে চায়।
-কি বল্লি সালা……?
-না আবির ভাই নতুন প্রিন্সিপাল তোমার সাথে দেখা করতে চায়……. (পিওন)
– কেনো….।
– সেটা আমি কেমনে বলবো।
নিজেই গিয়ে শুনে আসো।
আমার বাপ ঠিকই বলে,
আমার সালা কোনই দাম নাই।
পিয়ন অবদি চেইতা চেইতা কথা
বলে।
পিন্সিপাল এর রুমে গেলাম…
মনে মনে ভাবছি আগের বুইড়া
যেমন খাঁটাস ছিলো,
না জানি এইটা আবার কেমন।
– আমি কি ভিতরে আসবো।
– হুমমমমম, আসো।
– ও মা এতো দেখি…. মহিলা
পিন্সিপাল।
যাই হোক ভিতরে গেলাম।
চেয়ারটা ঘোরানো অন্যদিক
হয়ে বসে আছে।
আমি ঢুকতেই আমার দিকে
ঘুরলো।
– আর আমি তো তাঁর দিকে তাঁকিয়েই
ফ্রিজ হয়ে গেছি।
আমি এখন ভার্সিটি তে আছি নাকি
তামিল কোন নাইকার সাথে
দেখা করতে আসছি।
– এই যে হ্যালো…..(ম্যাম)
– নাইকার কথাই আবার নিজের
মধ্যে ফিরে আসলাম।
– তাহলে তুমিই সেই বিখ্যাত
স্টুডেন্ট আবির……?
কেমন করে কারো রুমে ঢুকার
জন্য অনুমতি নিতে হয় সেইটা ও জানো না।
– আসলে মানে ম্যাম… আগের স্যার
তো একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলো,
আর তার সামনে ইংরেজি বলতে
শুনলেই রেগে যেতেই।
– চুপপপপপপপপপপপ….. আমাকে
এই সব বুঝিয়ে কিছু হবে না।
আর ওনি আমার দাদু ছিলো।……..(ম্যাম)
– তাই তো বলি এমন অঙ্গে অঙ্গে
ঝাল ক্যান…. (মনে মনে) ।
– কান খুলে একটা কথা শোন,
আগে কী করছো না করছো
সেটা ভিন্ন কথা, তবে আজকের পর থেকে আমার
আইন চলবে।
– জ্বী ম্যাম।
– শুধু জ্বী ম্যাম বললেই তো আর
চলবে না.. এই বার যদি পাস করতে
না পারো, তাহলে আর এই ভার্সিটি আসতে হবে
না।
– ওহহহ আচ্ছা তার মানে এত দিনের এক্সপিরিয়েন্স
এর জন্য এমনিই সার্টিফিকেট
দিয়ে দিবেন তাই না।
– আগে কী করছো জানি না,
বাট আমার সাথে এমন মজা
করতে আসবা না,
কারণ আমি এতটা তো ভালো না
কথা কানে ঢুকিয়ে নাও।
আর আজকে থেকেই পড়া শুনা
শুরো করে দাও।
আমাকে কোন কিছুতেই ঘোল
খাওয়াতে পারবা না,
তোমার সম্পর্কে আমি সব জানি,
ভালোই হয়েছে আজকে ফোনটা
পড়ে গেছে। আজাইরা গেমস্ এর পিছনে সময় নষ্ট না করে, একটু বইয়ের দিকে সময় দাও,
লাইফে কাজে আসবে।
এবার যাও…….(ম্যাম)
– ম্যাম আপনাকে একটা কথা বলি…..?
– বলো
– আপনি দেখতে তামিল নাইকাদের
মতো হলে ও…ভিতরটা পুরাই
আর্মি ক্যাপ্টেন এর মতো…
কোন হাঁসি নাই, মজা নাই,
লবণ, ঝাল ছাঁড়া তরকারির মতো।
আচ্ছা আপনি কী আর্মি থেকে
আসছেন হুমমমমম….হি হি হি।
বলেই দৌঁড়……….