প্রিন্সিপাল ম্যাম যখন গার্লফ্রেন্ড (Part-2)

Contents
প্রিন্সিপাল ম্যাম যখন গার্লফ্রেন্ড (Part-2)
প্রিন্সিপাল ম্যাম যখন গার্লফ্রেন্ড (Part-1)
– ম্যাম এর রুম থেকে দৌঁড়ে
চলে আসলাম,
আর মনে মনে ভাবতেছি,
সকল ভার্সিটিতে যদি এমন সুন্দরী
একটা করে পিন্সিপাল ম্যাম থাকতো,
তাহলে দেশটা আজ সকল ট্যালেন্ট
ছেলেদের দিয়ে ভরে যাইতো।
কারণ আমার তো এখন থেকেই
পড়তে মন চাইতেছে।
কিন্তুু বাসাই যাইতেই তো মন চাইতেছে
না।
মন চাইতেছে ঐ রুমের দরোজার সামনে
বিছানা পেতে সারাদিন শুয়ে থেকে
ম্যামরে মন, প্রাণ, চক্ষু সব কিছু ভরিয়ে
দেখি।
কিন্তুু না, এই সব আজাইরা চিন্তা
করলে হইবো না, এখন থেকে
পড়তে হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ, একটা গাছের
ছাঁয়ার নিছে বসে বসে পড়তেছি,
যেখান থেকে ম্যাম এর রুমটা
কী সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছে।
এক মিনিট বই পড়লে তো, পাঁচ মিনিট
ম্যাম এর রুমের দিকে চেঁয়ে আছি।
এমন করতে করতে হঠাৎ দেখলাম
ম্যাম নিচে আসতেছে,
মনে হয় বাসাই যাবে,
এটাই সুযোগ তার নামটা শোনার।
ধীরে ধীরে তার কাছে গেলাম।
– হ্যালো… ম্যাম… বাসাই যাচ্ছেন।
– কেনো।
– আসলে মানে, একটা কথা
বলতাম।
– আবির… দেখো, তোমার ঐ সব
ফাইজলেমি শোনার মতো আমার
টাইম নেই।
ঐ যে আমার গাড়ী চলে আসছে।
– ম্যাম, ম্যাম, ম্যাম আসলে মানে আপনার
নামটা যদি একটু বলতেন।
– ইরা ।।
নামটা বলেই চলে গেলো।
– ইরা তো না যেন আগা গোঁড়া হিরা,
টাচ করলেই খচ করে কেঁটে যাবে।
বাসাই যাইতেছি আর আর ভাবতেছি,
কিছু তো একটা আইডিয়া বের
করতেই হবে ম্যামের কাছে কাছে থাকার
জন্য।
রাতে জোরে জোরে পড়তেছি।
– বাহ্ বাহ্… হঠাৎ আজকে তোর
কী হইলো, এত সুন্দর করে
পড়তেছিস।
– আব্বু ডিস্টার্ব দিও না তো,
অনেক পড়া আছে।
– সেটা তো বুঝলাম,
কিন্তুু আগে তো কোনদিন এমন সুন্দর
করে পড়তে দেখিনি ।
– ওহহহহহহহহহ….এবার এখান
থেকে যাও, পড়তেছি দেখতেছো না।
– ঠিকআছে পড়।
একটু পড়ে।
– আবির খেতে আয়।
– আসতেছি মা।
এটাই সুযোগ আইডিয়াটা কাজে লাগানোর।
খাবার টেবিলে এসে বসলাম।
– আব্বু তোমাকে একটা কথা
বলার ছিলো।
– ওহহহহহহহহহ ঘটনা এবার বুচ্ছি, ফোন
কেনার কথা বলবি তো।
সে আমি জানতাম, তবে হ্যা ফোন আমি
কিনে দিবো না।
– দূর খালি বেশি বোঝ দুই লাইন,
তুমি যদি এমনি ও ফোন কিনে দিতে
চাও তাও আমি নিমু না,
এটা আমার পড়ার সময় বুঝলে।
– তোর শরীর ঠিক আছে তো (বাবা)
– হুমমমমম…. সব কিছু ঠিক আছে।
আর আমাদের সপ্ন পূরণ করার টাইম
ও চলে আসছে।
– কী বলছিস খুলে বল তো।
– আমাদের যেই পিন্সিপাল ছিলো,
তিনি তো বিদায় নিছে,
তার পরিবর্তে নতুন একটা পিন্সিপাল
ম্যাম আসছে,
আগের পিন্সিপাল এর নাতনি।
অনেক ট্যালেন্ট, আমেরিকা থেকে
পড়াশোনা শেষ করে আসছে।
– সব বুঝলাম… তবে ওনাদের সাথে
আমাদের কী…… (বাবা)
– আরে আগে তো সব খুলে বলি
তারপরেই না সব কিছু বুঝবা।
– ঠিকআছে বল।
– আমি বলতেছি কী…….? ইরা ম্যাম
যেহেতু অনেক ট্যালেন্ট সেহেতু
আমাকে যদি ওনি একটু পড়াতেন
আমি কেমন ট্যালেন্ট হবো একবার ভাবছো,
আর ওনি অনেক সুন্দর করে সব
বুঝিয়ে দেন।
– তোর কী মাথা খারাপ হইছে,
একে তো তুই একটা গাধা ,
আগের পিন্সিপাল তোরে তো
এক্কেবারেই সহ্য করতে পারে না,
আবার সেই পিন্সিপাল এর নাকি নাতনি,
সে ও আবার ভার্সিটির পিন্সিপাল প্লাস
আমেরিকা থেকে লেখাপড়া শেষ করে
আসছে।
কোন দুঃখে তোরে পড়াইতে যাবে
শুনি………..(বাবা)
– ওহহহহহহ আব্বা একবার ব্যাপারটা
বোঝ ,আমরা যেয়ে যদি তাঁদের
ভালো করে বলি তাতে তো কোন
সমস্যা নাই নাকি।
আর একবার যদি প্ল্যানটা কাজে
লাগে… বিয়ে তো আমি ইরা ম্যাম কেই
করমু।
– কীইইইই বললি……(বাবা)
– না মানে… আমাদের কথাই যদি
তাঁরা একবার রাজি হয়ে যায়,
পাস তো তাহলে আমি এবার
করমুই।
– ঠিকআছে….. তাহলে চল,
কখন যাবি।
– কালকে সকালে… যখন সবাই
বাসাই থাকবে তখন।
– আচ্ছা।
– আর আব্বা… যাওয়ার সময়
আমাদের গাড়ীটা ও সঙ্গে নিও।
– কেনো…. গাড়ী নিতে হবে কেনো।
– আরে বুঝতেছো না জিনিসটা,
যদি গাড়ী নিয়ে যাই আমাদের একটু
ভদ্র ভদ্র ভাববে, তাতে জিনিসটা
আরো একটু ভালো হবে তাই না।
– ঠিকআছে… যা ভালো বুঝিস।
পরেরদিন সকালে যেমন ভাবা
তেমন কাজ।
গাড়ী নিয়ে পিন্সিপাল স্যারের
বাড়িতে গেলাম।
– আব্বা তুমি আগে ভেতরে যাও,
গিয়ে পিন্সিপাল বুইড়ার সাথে
ভালো করে কথা বলো,
সে যদি রাজি হয় তারপরে আমি
ভিতরে যামু।
কারণ আমারে আগে দেখলেই
চেইতা যেতে পারে, পড়ে সব
গোন্ডগোল হয়ে যাবে।
– ঠিকআছে তাহলে তুই দরোজার
বাইরে থাক, আমি ডাক দিলে আসবি।
– হুমমমমমম।
আব্বা ভালো করে বুঝাইও, আমার
জীবন মরণ ব্যাপার।
– মানে।
– না মানে এইবার ও যদি পাস
না করতে পারি তাই।
– ঠিকআছে… তুই থাক এখানে।
আমি ভিতরে গেলাম।
– ওকে আব্বা বেস্ট অফ লাক
– থাপড়ানি দিমু শয়তান।
– ঠিকআছে যাও।
কলিং বেল চাপতেই দরোজাটা
কে জানি খুলে দিলো,
আমি তো লুকিয়ে আছি তাই তো
দেখতে পাই নাই।
আব্বা ভেতরে যাওয়ার পরে
দরোজাটা বন্ধ হয়ে গেলো।
আমি দরোজাই কান লাগিয়ে
শুনছিলাম, আব্বা
কী বলে সেই সব।
– আস্ সালামু ওয়ালাইকুম… স্যার।
– ওয়ালাইকুম আস্ সালাম।
– কেমন আছেন স্যার।
– এই তো ভালো.. রাফি তুমি
কেমন আছো।……?
– জ্বী স্যার ভালো…।
– তারপরে হঠাৎ আজ আমার
বাড়িতে কী মনে করে।
– আসলে মানে স্যার আপনার
সাথে জরুরী একটা কথা বলার দরকার
ছিলো।
– হ্যা অবস্যই বলো… তোমাদের ব্যাচ টাকে
এখন অনেক মনে পড়ে।
আমার দেখা সব থেকে ট্যালেন্ট ব্যাচ
ছিলে তোমরা।
– জ্বী… স্যার।
> মেজাজটা কেমন লাগে… আমার
কথা বলতে গিয়ে ওনারা শুরু করছে সেই
আশির দশকের কথা <
– তো রাফি কী জানি বলবে।
– আসলে স্যার… আপনি তো আমার
ছেলেকে চেনেন।
– শুধু কী চেনা, খুব ভালো করে চিনি।
শুধু মাত্র তোমার ছেলে বলে ওকে
ভার্সিটি তে ভর্তি করে নিছিলাম,
ভাবছিলাম তোমার মতোই ট্যালেন্ট
ছাত্র হবে।
রেজাল্ট হয়তো কোন কারণে একটু
খারাপ হয়েছে।
কিন্তুু পরে যা বুঝলাম আর দেখলাম।
ওর মতো শয়তান, বেয়াদব, গাধা
আমার জীবনে আর একটা দেখিনি,
আমি ভাবতে পারিনা ও তোমার ছেলে।
– ঠিক বলেছেন স্যার.. আমার
ও তাই মনে হয়।
> সম্মানের আর কিছুই থাকলো না,
ম্যামরে বউ করা তো দূরের কথা,
তাঁর কাছে পড়ার কপালটা ও
হইবো না <
– তারপরে… কী যেন বলতে আসছিলে
রাফি।
– স্যার, আপনার কাছে শেষ একটা
অনুরোধ আছে।
– হ্যা বলো।
– আমি বলছিলাম কী স্যার, আপনার
যেই নাতনিটা ভার্সিটিতে পিন্সিপাল
হিসেবে জয়েন করছে,
সে যদি আমার গাধাটাকে একটু
গাইড করতো,
তবু যদি গাধাটা একটু মানুষ
হতে পারে… প্লিজ স্যার না
করবেন না,
আপনি আমার শেষ ভরসা।
যত টাকা লাগে আমি তাঁকে দিতে
রাজি আছি।
– আসলে রাফি টাকাটা বড় জিনিস
না, ইরা যেমন রাগি, সে যদি রাজি
হয় তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই।
আর তোমার ছেলেকে তো তুমি
চেনো, সে নিশ্চয় ইরার সাথে কোন
বেয়াদবি করছে, আর যদি না করে থাকে তাহলে
একটু সুযোগ আছে,
আর আমি ইরাকে আবিরের সমন্ধে সব বলছি,
জানি না সে রাজি হবে কী না।
– ঠিকআছে… স্যার, তবু একটু ওকে
ডাকেন কথা বলে দেখি যদি কিছু হয়।
> হে আল্লাহ্ তোমার দয়ার ভান্ডার
থেকে সামান্য একটু দয়া, আমার
জান্টুসটার মনে পয়দা করে দাও, আমিন <
– ইরা…. ইরা…।
– বলো…..এই সকালে ডাকো কেনো দাদু।
– এই বাহিরে আয় না।
– কেনো।
– ওহহহহহহহ… আগে আয় তারপরে
বলতেছি।
– হুমমমমমম… আসতেছি।
– আচ্ছা বলো কী?
– ও হচ্ছে আমার জীবনের
বেস্ট ব্যাচ এর বেস্ট ছাত্র রাফি,
তোর বাবা আর রাফি একই সাথে পড়তো।
খুব ভালো বন্ধু ছিলো ওরা।
– আস্ সালামু ওয়ালাইকুম…আংকেল।
– ওয়ালাইকুম আস্ সালাম।
ভালো আছো মা।
– জ্বী… আংকেল।
আপনি ভালো আছেন।
– এই তো মোটামুটি… আগে
প্রাই আসতাম এখানে,যখন তোমার বাবা
মা আমেরিকা চলে যায়।
তারপরে থেকে আর আসা হয়নি।
তবে তুমি হঠাৎ ভার্সিটির দায়িত্ব
নিলে কেনো।
– আসলে আংকেল,আব্বুর সপ্ন ছিলো
ওনি দাদুর স্থানটা নিবেন।
কিন্তুু অনেক কাজের চাপে সেটা হয়ে
উঠেনি।
সেজন্য আমাকে পাঠিয়ে দিলেন,
আর আমি ও নিজের
দেশে কিছু একটা করার চিন্তা
করছিলাম।
– হুমমমমমম… ভালো।
> এবার আমার হেব্বি রাগ হচ্ছে
আসল হিরো আমি আর আমার
কথাই হচ্ছে না।
আর আল্লাহ্ ইরাকে তৈরিই করছে
আমার জন্য, আর আমি তো আছি
বাংলাদেশে, সে এখানে এসে
কিছু করতে চাইবে না তো কী
আমেরিকাই করতে চাইবে ,
একটা টান আছে না <
– ইরা…রাফির আর একটা
পরিচয় আছে সেটা কী জানিস।
– কী পরিচয়।
– সে হলো, আমাদের কলেজের
বিখ্যাত ছাত্র আবিরের বাবা।
– কীইইইই……।
– হুমমমমমম।
– কিন্তুু আংকেল আর আবিরের মধ্যে
তো কোনই মিল নেই।
– সেটাই তো সমস্যা।
সেই জন্যই তো সে তোর কাছে
আসছে।
– আমার কাছে কেনো।
– আসলে ইরা… কী ভাবে
যে কথাটা বলি বুঝতেছি পারতেছি না।
– না না আংকেল বলেন।
– তুমি যদি আমার ঐ গাধাটাকে
একটু গাইড করতে তাহলে অনেকটা
ভালো হতো।
আমি জোর করবো না যদি
একটু পারো তবেই।
– ঠিকআছে আংকেল, বিকেলে
আমি ফ্রি থাকি।
– ওকে আমি দরোজার ঐ পারে রেখে
আসছি, আমি কি ওকে ভিতরে আসতে
বলবো।
– আরে… ঐপারে রাখছেন কেনো ,
ভিতরে আসতে বলেন
– সে অনেক ভালো তো সেই
জন্য….।
– আবির.. দরোজা খোলাই আছে
ভিতরে আসো……(ম্যাম)
– ওহহহহহহহহহহ…..আর একটু
এমনে চলতে থাকলে দম
বন্ধ হয়ে মরে যেতাম,
এতক্ষণ পরে ডাক তাহলে আসো।
ভিতরে গেলাম।
– সবাই রে এক সাথে দেখে তো
ভেবাচেকা খেয়ে গেলাম,
সালাম দিমু না কী করমু।
মনে মনে ভাবতেছি সবাই তো
সবাইরে অনেক সালাম দিছে,
আমি একটু অন্য কিছু করি।
– হ্যালো… ম্যাম গুড মর্নিং।
– আবির.. তুই কী
আদব কায়দা ও ভুলে গেছিস
কোথায় কী বলতে হয়
সেটা ও জানিস না (বাবা)।
– আরে আমি কী করলাম, তোমরা
দুইজন তো সালাম পাইছো,
তাই আমি ভাবলাম ম্যামরে একটু
গুড মর্নিং বলি।
– রাফি… থামো, ও ঠিক হবার পাত্র
না সেটা আমি আগেই থেকেই জানি।
– কিন্তুু তবু ও স্যার….ওর জন্য আমার
মান সম্মান সব শেষ হয়ে গেছে।
ইরা…. তোমাকে ওকে কষ্ট করে
পড়াতে হবে না।
ও কোনদিন ঠিক হবে না আমি জানি,
আর ওর পাশ করা ও লাগবে না,
তুই চল আমার সাথে।
স্যার… আমাকে ক্ষমা করে
দিয়েন, এই গাধাটার জন্য আপনাদের
সকাল সকাল বিরক্ত করলাম।
– রাফি… ছেলে মানুষী করো না,
ও তো এমনি।
– দাদু ঠিক বলেছে আংকেল,
আর আবির তুমি বিকেল
থেকে পড়তা আসবা,
বাসার নিচে এসে ফোন করবা আগে,
আমার নাম্বারটা রাখো তোমার
কাছে।
– ওকে… ম্যাম।
ওহহহহহহহহহহহ ভাবতেই
অবাক লাগছে, দুই দিনে লাইফটাই
চেঞ্জ.. ইরার নাম্বারটা ও পাইছি,
আর সাথে থাকার পারমিশন ও.. হি হি।
– স্যার এবার আমরা যাই।
– আরে কিছু তো খেয়ে যাও।
– আজকে না স্যার, অন্য একদিন,
আমার অফিসের লেট হয়ে যাচ্ছে।
– বাবা তুমি যাও, আমি খেঁয়ে যাইতেছি।
– একটা থাপড়ানি খাবি, তোর মা
খাবার নিয়ে বসে আছে, বাসাই
না গেলে চিন্তা করবে।
– হুমমমমম…..
আচ্ছা ম্যাম তাহলে আসি
কেমন।
– ওকে… বিকেলে এসে ফোন দিও।
– সেটা তো অবস্যই।
– শয়তান চল এবার।
– হুমমমমমম… চলো।
গাড়ীতে করে যাচ্ছি।
– ওহহহহহহ… আব্বা তুমি যা
অ্যাকটিং করলা না পুরাই ঝাক্কাস।
ভাবতেই অবাক লাগতেছে, তুমি
যদি সেই সময়ে ওমন ব্রিলিয়েন্ট
স্টুডেন্ট না হয়ে আমার মতো
গাধা হইতে… আজ আমার কী
হইতো।
আসলে আল্লাহ্ যা করে ভালোর
জন্যই করে।
– আবির শোন… তোর মতলব আমি
ভালো মতো বুঝে গেছি।
ইরার সাথে যদি উল্টাপাল্টা কোন
কিছু করিস,
আর স্যার যদি আমাকে ভুল বোঝে,
তাহলে আমার থেকে খারাপ আর
কেউ হবে না।
কেন যে আমি তোর কথা
শুনতে গেলাম।
– একটা মাত্র ছেলে, তার কথা শুনবা
না তো কার কথা শুনবা ডেডি।
– গাড়ী দাঁড় করা।
– কেনো…..?
– দাঁড় করাতে বলতেছি দাঁড় করা।
– হুমমমমমম।
– এবার গাড়ী থেকে নাম।
– কেনো।
– গাড়ী থেকে নেমে, হেঁটে হেঁটে সোঁজা
বাসাই যাবি যা।
– ঠিকআছে…. এত বড় একটা
উপকার করলে , এই টুকু কথা তো
শুনতেই পারি… হি হি।
হেঁটে হেঁটে বাসাই যাচ্ছি আর ভাবতেছি,
বিকেল থেকে ইরা ম্যাম এর কাছে
পড়তে যামু.. হা হা হা,
ভাবতেই কেমন গাঁয়ে শিহরণ দিয়ে
উঠতেছে.. ওহহহহহহহহহহ।