কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া তে এড করতে হবে

Contents
কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া তে এড করতে হবে ?
যা থাকছে এই লিখায় –
* ৫ টি টিপস ছোট বিজনেসের বাজেট দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তে এড করার ।
* ৫ টি সোশ্যাল মিডিয়া এড মিস্টেক যা আজকেই জানতে হবে ।
এখন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন গড়ে ২.৫ ঘণ্টা সময় সোশ্যাল মিডিয়া তে কাটায় । আপনি যদি ছোট বিজনেসের মালিক হন তবে ইহা আপনার জন্য জানা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ । সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজে এবং দৈনন্দিন জীবনে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
অধিকাংশ বেসিক সোশ্যাল মিডিয়া উপদেশ দিয়ে থাকে প্রত্যেক সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এ জয়েন করুন আর সারা দিন পোস্ট করুন । এইটা করুন ঐ টা করুন । আর সেটার জন্য আপনার যথেষ্ট সময় নাই ।
এই টা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ আপনার ছোট বিজনেসের জন্য যে কিছু প্রধান সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এ আপনার উপস্থিতি থাকতে হবে , যেমন ফেসবুক । কিন্তু আপনি চেষ্টা করেছেন এই সব নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে গড়ে উঠার জন্য তবে ইহা তত টুকু সহজ নয় যত টুকু শোনা যায় ।
সোশ্যাল মিডিয়া এড আপনাকে সাহায্য করবে সব থেকে বেশী আপনার মার্কেটিং এ খরচ রিটার্ন পেতে , পাশা পাশি কম সময় দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া তে । যখন বড় কোম্পানির মার্কেটিং এর জন্য আদর্শ সোশ্যাল নেটওয়ার্ক , তখন ছোট কোম্পানির মালিক আসলে জানে না কিভাবে এডের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া কে ব্যাবহার করতে হয় ।
সেই জন্যই এই গাইডলাইন
এই গাইডে আপনি খুঁজে পাবেন স্টেপ , সমাধান , লক্ষ্য যা আপনাকে সাহায্য করবে এডের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার মুনাফা বাড়াতে ।
আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার মুনাফা বাড়াতে এই সমস্ত কাজ গুলি আগে করুন ।
সোশ্যাল মিডিয়া শুধুমাত্র আর বাচ্চাদের জন্য নয় , বর্তমানে বিজনেসে জগতে টিকে থাকতে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া দরকার । ভালবাসেন আর নাই বা বাসেন ।
আপনার সুবিধার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া কে ব্যাবহার করার স্মার্ট পদ্ধতি আছে বিশেষ করে যখন আপনি এডের জন্য ব্যাবহার করবেন ।
আপনার প্লাটফর্ম বেছে নিন শুরুতে শুধুমাত্র একটির উপর ফোকাস দিন ।
আপনার হাতে অনেক রকম সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বেছে নেয়ার সুযোগ আছে , কিন্তু সব নেটওয়ার্ক আপনার ছোট বিজনেসের রিটার্ন সমান ভাবে দিতে পারে না ।
সব থেকে ভাল প্লাটফর্ম বেছে নিতে তার সুযোগ সুবিধা যাচাই করুন এবং কিভাবে তার ইউজার রা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জানাই তা দেখে নিন ।
যেমন আমাদের দেশে ছোট বিজনেসের জন্য জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ফেসবুক তার কিছু দিক তুলে ধরা হল ।
- গড় বয়স – ২৫ – ৩৪ বছর
- ইন্টারেস্ট – আর্টিকেল , ভিডিও , লাইফ আপডেট
- প্রাথমিক ব্যাবহার – ফ্রেন্ড এবং ফ্যামিলির সংস্পর্শে থাকা , নিউজ আপডেট এবং জীবন মাণ এর ব্যাপারে আপডেট থাকা ।
- ফান ফ্যাক্ট – ৩০০ মিলিয়ন ছবি প্রত্যেক দিন আপলোড করা হয় , গড়ে ২.৫ ঘণ্টা সময় কাটান হয় ।
- এড – অনেক সহজ টার্গেট গ্রাহকের নিকট পৌঁছান , সব থেকে বেশী অপশন ।
- টেকনোলজির হাতে নিজেকে সমর্পণ করবেন না বরং তা আপনার কাজ উদ্ধারে ব্যাবহার করুন ।
আপনি যদি সফটওয়্যার দেভলপার না হয়ে থাকেন তবে থার্ড পার্টি CPM versus CPC শেখা বন্ধ করুন এই সব কিছু আপনার দরকার নাই । যখন আপনি এডের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করবেন তখন শুধুমাত্র বেসিক সেটিং নিয়ে কাজ করুন ফেসবুকের Power Editor. থেকে দূরে থাকুন ।
আপনার ডাটা একসাথে করুন ।
সোশ্যাল নেটওয়ার্ক কে তার আসল রুপ এড নেটওয়ার্ক হিসাবে ভাবুন । তারা ইউজারদের তত্থের বিনিময়ে ফ্রি ভিডিও , ছবি শেয়ার করার সুযোগ দিয়ে থাকে । একজন ছোট বিজনেসের মালিক হিসাবে এই সুযোগ লুফে নিন তারা আপনার টার্গেট গ্রাহক সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্য দিয়ে থাকে ।
তাই আপনার ওয়েবসাইট এবং ইমেইল লিস্ট ফেসবুকের সাথে কানেক্ট করুন যাতে করে আপনার সকল পাঠক কে একই স্থানে পান এবং তাদেরকে ফলো করতে পারেন ।
৫ টি টিপস ছোট বিজনেসের বাজেট দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তে এড করার ।
অনেক টাকা বাচান টিপস এবং টুল আছে যে গুলি আপনার ট্রাই করে দেখা উচিৎ আপনার বাজেট শেষ হবার আগেই । আপনার একাউনটের উপর চাপ কমিয়ে বেশী বেশী মুনাফা পেতে ৫ টি টিপস দেয়া হল ।
১- শুরু করুন অরগানিক
সোশ্যাল মিডিয়াতে পেইড এড করার আগে অবশ্যই আপনার বেইজলাইন গড়ে তুলুন অরগানিক কনটেন্ট দিয়ে ।
” আপনি যদি অরগানিক ভাবে পোস্ট করে থাকেন তবে ফেসবুক আপনাকে আরও বেশী বেশী রিচ দিয়ে রিওয়ার্ড দিবে , পরে তখন সেই পোস্ট আপনি বুস্ত করতে পারেন ”
যাইহোক এই টা খুব গুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপার যে পোস্ট অরগানিক ভাবে বেশ ভাল পারফর্ম করবে তার পিছনে খরচ করা । যখন ফেসবুক বুঝতে পারবে সেই পোস্টের জনপ্রিয়তা তখন আরও বেশী বেশী রিচ হতে থাকবে ।
যখন আপনি জনপ্রিয় অরগানিক পোস্টের উপর খরচ করছেন তখন কয়েকদিন অপেক্ষা করবেন আরও বাজেট বাড়ানোর পূর্বে । আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে এখনও সেই পোস্ট বেশ ভাল পারফর্ম
করছে । যদি তা গড়পড়তা থেকে ভাল পারফর্ম করে তবেই বাজেট বাড়াবেন ।
২- আপনার বাজেটের সাথে খুঁতখুঁতে হন
শুধুমাত্র সে খানেই খরচ করা উচিৎ যা আপনার আসল উদ্যোগ সফল হতে সাহায্য করে থাকে । যেমন খুব সম্ভব সেই কনটেন্ট এর উপর খরচ করব যা আমার বিক্রয় বৃদ্ধি করবে তার উপর নয় যেটা আমার কোম্পানির সাথে যায় না । তাই সেই খানেই আপনার টাকা লাগান যে খানে আপনার বিজনেসের কাজে আসে ।
যদি আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কিত কনটেন্ট বেশী না থাকে , তবে আপনার বিজনেসের সাথে যায় এমন কিছু কনটেন্ট যা আপনার ফলোয়ার ইন্টারেস্ট ফিল করে থাকে যেমন আর্টিকেল বা ভিডিও শেয়ার করুন । তবে অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বীর কনটেন্ট কপি করবেন না ।
৩- আকর্ষণপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করুন
আকর্ষণপূর্ণ কনটেন্ট বলতে গ্রাফিক , ইমেইজ , ভিডিও , পোস্ট কে বুঝায় যাতে ফলোয়ার যে কোন ভাবে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকে । লাইক , কমেন্ট , শেয়ার করে থাকে । এই ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া আপনার কনটেন্টের জনপ্রিয়তা প্রমান করে আর সেটা ফেসবুক টের পেয়ে আরও বেশী বেশী ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া পেতে সাহায্য করে থাকে ।
এই খানে কিছু পদ্ধতি বলা হল যার ফলে আপনার কোন প্রকার খরচ ছাড়ায় কনটেন্ট জনপ্রিয় হতে পারে ।
*আকর্ষক এবং সংক্ষিপ্ত কনটেন্ট লিখুন
ইহা গুরত্ত পূর্ণ যে আপনার লিখা কনটেন্ট যেন পাঠকের সাড়া পায় । তা করার সব থেকে ভাল উপায় হল যথাযথ এবং পরিষ্কার কনটেন্ট লিখা , তবে সেটা আপনার পাঠক সম্পর্কিত হতে হবে ,
আপনার ব্র্যান্ডের ম্যাসেজ এবং টনে হতে হবে , এবং মার্কেট সম্পর্কিত ট্রেনড ফলো করতে হবে ।
ইমেইজ ভিডিও যোগ করুন
মানুষ সেই কনটেন্ট পছন্দ করে যা সহজেই বুঝা যায় এবং দেখতে ইন্টারেস্টিং হয় । ইমেইজ এবং ভিডিও মানুষের মাঝে তা আঁকতে এবং ফানি হিসাবে তুলে ধরতে সাহায্য করে থাকে , সংস্কৃতির সাথে যায় এমন কিছু বা শিক্ষণীয় ব্যাপার সেপার হতে পারে আপনার কনটেন্ট ।
সৌভাগ্যবশত টেকনোলজির কল্যাণে এই ধরনের কনটেন্ট অনেক কম খরচে তৈরি করা খুব সহজ ।
পোল , সার্ভে , কুইজ যুক্ত করুন
পোল , সার্ভে , কুইজ শুধুমাত্র বিনোদন দেয় না তাতে বিজনেসের অনেক দরকারি তথ্য ও পাওয়া যায়
এই ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট এর ২০ % ভিজিটর ও বাড়াবে
৪- মোবাইলের জন্য আপনার কনটেন্ট অপটিমাইজ করুন
গবেষণা বলে সোশ্যাল মিডিয়ার ৯০ % মানুষ মোবাইল ইউজ করে থাকে , এই ছাড়া গবেষণা আরও বলে ৮০ % মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া তে কম পক্ষে একটি ব্র্যান্ড ফলো করে থাকে ।
তার মানে হচ্ছে এখনই সময় সোশ্যাল মিডিয়া এডের জন্য অপটি মাইজ করা ।
- পোস্টের কনটেন্ট এত তা ছোট রাখুন যাতে ছোট ডিভাইসে সহজে পড়া যায় ।
- পিক টাইমে পোস্ট করুন বিশেষ ভাবে মানুষ কর্মস্থলে যেতে আসতে যখন ট্রাভেল করে থাকে তখন
- যখন আপনি এড সেট করেন তখন ডিভাইস টাইপ নির্দিষ্ট করে দিন
- আপনার ইমেইজ এবং ভিডিও যাতে মোবাইল ডিভাইসে মানান সই হয় তা নিশ্চিত করুন
- Clipchamp অনলাইন ভিডিও কম্প্রেসার কোন প্রকার সাইজ লিমি ট ছাড়ায়
- Magisto এমন একটি টুল যা দ্রুত ভিডিও তৈরি এবং এডিট করতে সাহায্য করে থাকে যা যে কোন ডিভাইস বা চ্যানেলে মানান সই হয়ে থাকে
- Facebook Slideshow এর মাধ্যমে স্টিল ইমেইজ থেকে ভিডিও এড বানানো যাবে সেটা পাওয়া যাবে Power Editors এবং Ads Managers এ ।
- Facebook auto-captioning tools এমন একটি টুল যা Facebook Power Editor ইউজারদের অটো ভিডিও এডে ক্যাপশন দিতে সাহায্য করে থাকে ।
৫- রুলস ফলো করতে হবে
ফেসবুক সবার কাছে পরিচিত যে তারা সব সময় তাদের ফিড এলগরিদম চেঞ্জ করে । সেই কারনে কিভাবে মানুষ তথ্য রিসিভ করবে আর কিভাবে বিজনেস তাদের পাঠকের কাছে পৌঁছাবে ।
বিজনেস যখন এই সমস্ত চেঞ্জ জানতে পারে এবং সে হিসাবে কাজ করে তখন ফেসবুক এই সমস্ত বিজনেস কে আরও বেশী রিচ দিয়ে রিওয়ার্ড দিয়ে থাকে ।
এটি তাদের খেলার মাঠ তাই যদি তাদের নিয়মে না খেলেন তাহলে অনেক কিছুই আপনাকে হারাতে হবে । তাই যখন তারা দেখে যে তাদের রুলস ফলো করছেন তখন তারা আরও বেশী রিচ দেয়ার চেষ্টা করে । যার মানে হচ্ছে আরও বেশী ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া , ফলোয়ার , ভিজিট , বিক্রয় ।
৫ টি সোশ্যাল মিডিয়া এড মিস্টেক যা আজকেই জানতে হবে
এখন আপনি জানেন কি কি করতে হবে তাহলে কি কি করতে হবে না তা জেনে নেই । এই সমস্ত কমন প্রবলেম গুলি সমাধান করে আপনার মুনাফা বৃদ্ধি করুন ।
১- কে আপনার পাঠক তা আপনি জানেন না
আপনি কখনও আপনার টার্গেট গ্রাহক নির্ধারণ করেছেন ? তাদের বয়স কত ? কোথায় তারা বাস করে ? সব থেকে কোন সোশ্যাল প্লাটফর্ম বেশী ইউজ করে ? তাদের কি সমস্যা আছে যা আপনি সমাধান করবেন ? আপনার নিজের সম্পর্কে যদি বেসিক কিছু প্রশ্নের উত্তর না দেন কে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় করবে কেন করবে ? তাহলে আপনি ভুল করছেন ।
আপনি শুধু শুধু ফেসবুকে এড পোস্ট করবেন আর আশা করবেন যে আপনার টার্গেট গ্রাহকের কাছেই
যাবে তা হতে পারে না । আপনাকে জানতে হবে কে সাড়া দিতে পারে আপনি যা অফার করেন তা ক্রয় করতে বিশেষ ভাবে তাদের কাছে আপনার এড পৌঁছাতে হবে । সোশ্যাল মিডিয়ার এডের সুবিধা হচ্ছে আপনি তা খুব সহজেই সেটা করতে পারেন , তাই কিছু সময় দিতে হবে যে আপনার গ্রাহক কারা তা নির্ধারণ করতে ।
২- আপনার বিজনেসের লক্ষ্য নিরাধারন করেন নাই
আপনি কি জানেন কেন সোশ্যাল মিডিয়া তে আপনি এড পোস্ট করছেন বা আপনার পোস্ট প্রমোট
করছেন ? প্রত্যেক এড কেম্পাইনে পরিষ্কার এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্য সেট করাই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া তে মার্কেটিং করার চাবি কাঠি ।
” বেশী বিক্রয় ” এর পরিবর্তে ” আপনার বিজনেস সম্পর্কে প্রতিবেশী এলাকায় সচেতেনতা গড়ে তোলা ” অথবা ” আপনার বিজনেস ওয়েবসাইট এ আরও বেশী ভিজিটর বাড়ানো ” লক্ষ্য নির্ধারণ করা সুদূরপ্রসারী হতে পারে ।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং দিয়ে যে সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করতে চান তার একটা লিস্ট দেয়া হল
- বিজনেস সম্পর্কে সচেতেনতা গড়ে তোলা
- গ্রাহকের ফিডব্যাক বা সাজেশন পাওয়া
- গ্রাহক রিভিউ বা গ্রাহক আপনার বিজনেস কে আরেকজনের নিকট রেফার করা
- সেল প্র মোট করা , বিশেষ বা সিজনাল ইভেন্ট আয়োজন করা
- আপনার বিজনেস ওয়েবসাইট এ ভিজিটর বাড়ানো
- আপনার বিজনেস কে কল দেয়া
- ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য ইমেইল সংগ্রহ করা
৩- ফলাফল অনুসরন না করা
প্রত্যেক সোশ্যাল মিডিয়া এড সফল নয় , আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি জানেন কোনটি সফল এবং কোনটি আসফল । এই অভিজ্ঞতা আপনার পরের এড কেম্পেইনে কাজে লাগাবেন ।
কিন্তু আপনি যদি ফলাফল অনুসরন না করেন তবে বেশী কিছুই শিখতে পারবেন না ।
অধিকাংশ সোশ্যাল প্লাটফর্ম আপনার জন্য এই তথ্য সংগ্রহ করে থাকে । যেমন ফেসবুকে এড দিলে রিপোর্ট এর অপশন আছে চাইলে প্রত্যেক এডের আলাদা আলাদা রিপোর্ট দেখতে পারেন আবার একসাথে পুরা কেম্পেইনের রিপোর্ট দেখতে পারেন ।
৪- আপনি জানেন না কি ট্র্যাক করতে হবে
এখন আপনার হাতে সব এডের ট্র্যাকিং আছে , কিভাবে ফলাফল ব্যাখ্যা করবেন । আপনি যে মেট্রিক
ট্র্যাক করেছেন তা সব থেকে বেশী নির্ভর করে থাকে বিজনেস লক্ষের উপর ।
প্রত্যেকের উচিৎ সজাগ থাকা কে এড দেখল এবং কে এডে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দেখাল তার পার্থক্য জানা
কারন আপনার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দরকার শুধুমাত্র আপনার এড দেখা নয় ।
যদি অনেক মানুষ আপনার এড দেখে কিন্তু ক্লিক করে না বা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জানাই না তাহলে ধরে
নিতে হবে এই এড বেশ ভাল কাজ করে নাই ।
যারা আপনার এড দেখেছে তাদের মাঝ থেকে যদি ২ থেকে ৫ % ক্লিক করে থাকে তবে বুঝতে হবে এড ভাল করেছে যদি তা ১ % এর কম হয় তবে আবার নতুন করে এড সাজাতে হবে ।
শুধুমাত্র ক্লিক দেখার বিষয় না তার সাথে সাথে দেখতে হবে কেমন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে ।
যদি একটি এড অনেক কমেন্ট , শেয়ার পাই তবে সেটা ইতিবাচক আলামত । যদিও সেই সমস্ত মানুষ ক্রয় করে নাই হতে পারে তারা পরবর্তী পোস্টে ক্রয় করবে ।
এই টা মনে রাখা গুরত্ত পূর্ণ যে প্রত্যেক গ্রাহক এক দিনে ক্রয় করবে না । যখন আপনি এড এর কার্যকারীতা পরিমাপ করবেন তখন ২৮ দিনের করবেন । কারন কিছু মানুষ ক্রয় করার আগে ভাবার
জন্য সময় নেয় , সে গুলিও যেন আপনার পরিমাপে আসে ।
৫- আপনার ম্যাসেজ কাজ করছে না
যদি আপনি ভাল ফলাফল না পান তবে বুঝে নিতে হবে আপনি যে ভাবে সম্ভাব্য গ্রাহকের সাথে কথা
বলছেন তা ঠিক হচ্ছে না । সেটা বুঝবেন কিভাবে ? বুঝতে হলে টেস্ট টেস্ট আর টেস্ট করে যেতে হবে
যখন আপনি এড ডিজাইন করবেন তখন আপনার টার্গেট গ্রাহক এবং বিজনেসের লক্ষের কথা চিন্তা
করবেন । তারপর ভিন্ন ভিন্ন অপশন চিন্তা করবেন । এই গুলি কে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এড তৈরি করে টেস্ট
করতে হবে । হতে পারে একই লিখায় ভিন্ন ভিন্ন ইমেইজ দিয়ে আবার একই ইমেইজে ভিন্ন ভিন্ন অফার দিয়ে । এত কিছুর পরে যে কপি বেশী কাজে দিবে সেটা প্রয়োগ করতে হবে ।
আপনি ছোট বিজনেসের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া তে কিভাবে এড দিতে হবে তার কিছু টিপস পেলেন
এই বার দেখা যাক কিভাবে ফেসবুকে এড দিবেন ।
ফেসবুকে কিভাবে এড দিবেন
ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জানানোর দিক দিয়ে ফেসবুক হচ্ছে সব থেকে বেশী বেবহিত এপস । নতুন “liking”
অপশন সহ ইন্টারেস্টিং ভিডিও , আর্টিকেল শেয়ার করা সহ অনেক কারনে ফেসবুকে সময় কাটায়
মানুষ যার কারনে আজকে এডের জন্য প্রধান প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক ।
ফেসবুকের অনেক ক্যাম্পেইন অপশন আছে যা আপনি ইউজ করতে পারেন , একটু রিসার্চ এর দরকার কোন অপশন আপনার কেম্পেইনের জন্য বেস্ট । তারপরে আপনার সেটিং দেখে নিন
আর ফলাফল উপভোগ করুন ।
- বিভিন্ন প্রকার ক্যাম্পেইন রান করুন
- আপনার পেইজ প্র মোট করুন
- আপনার পোস্ট বুস্ত করুন
- আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর পাঠান
- ওয়েবসাইট এ আলাপ আলোচনা বাড়ান
- আরও অনেক কিছু