আজ অনুর বিয়ে

আজ অনুর বিয়ে
তুমি আর আমার সামনে আসবানা ।আমাদের সম্পর্ক এখানেই শেষ।
–আমার ভুলটা কি ছিল ,আমিকি জানতে পারি?
–তোমার কোনো ভুল নাই। সব ভুল আমার । তোমার সাথে রিলেসন করাটাই আমার ভুল ছিল। ১ বছরে একটাও চাকরি জোগার করতে পারলেনা।তুমি আর আমার সামনে আসবানা ।
–এই ব্যাপার!শনো বতমানে নিজের যোগ্যতায় কেউ চাকরি পায় না।চাকরি পেতে গেলে নেতা মএির পাওয়ার লাগে।নয় লাগে টাকা।আর বাবস বলেই দিছে আমার চাকরির জন্য টাকা দিবে না।
–বল তো এভাবে আর কত দিন??বাবা আমার বিয়ে দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
–বুঝলাম।এক কাজ কর আমার জন্য আর অপেক্ষা না করে তোমার বাবার পছন্দে বিয়ে করে ফেলো।
–তুমি এই কথা বলতে পারলে…..
–এছাড়া তো কিছু করার নেই..
–তুমি কি ব্যাপারটা বুঝতে পারছনা বাবা আমার বিয়ে দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
–তোমার বাবা তো আর আমার মতো বেকারের সাথে তোমাকে বিয়ে দেবে না।
–একবার বলে দেখ….
–পারব না।আমি কোন মুখে তোমার বাবার সামনে যাব বল আমি তো বেকার।
–তুমি যাবে না..??
–না..
–ওকে থাক তুমি (বলেই অনু চলে গেল)
আমি দারিয়ে শুধু ভাবছি আরকিছু করার নাই।আমি বেকার আর কোনো মেয়ের বাবা বেকারেে সাথে মেয়ে বিয়ে দেবে না।ও আপনাদের তো পরিচয়টা দেওয়া হলোনা আমি শুভ লেখাপড়া শেষ করে বেকার কোনো চাকরি পাইনি।আর মেয়েটি হলো অনু ওর সাথে আমার তিন বছরের রিলেশন যা আজ শেষ করে দিলাম।আর না শেষ করেইবা কি করব ওর বাবা তো আমার সাথে ওকে বিয়ে দেবে না।
এভাবেই দিন কাটতে লাগল।অনুর সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।মেসে শুয়ে আছি হঠাৎ নিরব এসে বলল আজ অনুর বিয়ে।ও আপনাদের তো বলা ইয় নাই নিরব আমার সাথে মেসে থাকে।অনুর বিয়ে আমাকে দাওয়াত দিল না।দাওয়াত পেলে পোলাও মাংস খাওয়া যেত।কিন্তু নিরব কি করে জানল আজ অনুর বিয়ে।
আমি নিরবের কাছে শুনলাম কি তুই কি করে জানলি আজ অনুর বিয়ে?? নিরব তুতলাতে তুতলাতে বলল অনুর ছোট বোন নিলা নাকি ওর gf।নিরব আর নিলা এক সাথেই পড়ে তাই আর কথা না বাড়িয়ে ফ্রেস হয়ে রওনা দিলাম অনুর বাড়ির উদ্দেশ্যে।
রাস্তায় এসে অনুকে কল করলাম কিন্তু অনুর ফোন বন্ধ সেটা নয় আমার মোবাইলে টাকা নেই।পকেটে টাকাও নেই যে রিচায করাবো।তাই দ্রুত গতিতে বাসস্টান্ডে চলে আসলাম।এসে বাস ওপেয়ে গেলাম।বাসে ওঠার পর মনে পড়ল আমার পকেটে তো টাকা নেই ।তাই সিট থেকে দাড়িয়ে হেলপার কে বল্লাম আমার কাছে তো টাকা নেই আমি দাড়িয়ে যাব।
সামনে থেকে ড্রইভার চেচিয়ে বলল… টাকা নেই তো কি হইছে আমি বসে যাবেন আপনাকে কি দাড়িয়ে যেতে বলছি।আসলেই বেকার দের কথা কেই না বুঝলেও বাস ড্রাইবার বা কন্টাকটাররা ঠিকই বুঝে।
বাস্তায় প্রচুর জ্যাম।জ্যাম দেখে মনে হয় এক দুইঘন্টার আগে ছাড়বে না।প্রায় ১ ঘন্টা জানি করে মিরপুরে এসে পৌছালাম।বাস থেকে নামতেই মোবাইলে কল আসল ভাবলাম অনু দিছে।না আমার এক স্টুডেন্ট এর মা দিছে বেতন দেবার ঠিক নাই আবার একদিন না পড়াতে গেলেই শুরু করে দিবে।
বাস স্টান্ড থেকে পাঁচ মিনিট লাগে অনুদের বাড়ি যেতে।বাড়ির সামনে আসতে দেখি ছাদে আলো জ্বলসে সাধারনত বিয়ের অনুষ্ঠান ছাদেই হয় হয় তো।ভাবছি কি করে বাড়ির ভেতরে ঢুকব তখন বাড়ির দারোয়ান এসে ডাক দিল..আপনি কি ডেকোরেশনের লোক নাকি..
কিবলব তা বুঝছি না হয় তো আমার মৌনতাকে হ্যা ধরে নিয়ে আমাকে ছাদে যাবার পথ দেখিয়ে দিল।আমি গুটিগুটি পায়ে সিঁড়ি বেয়ে ছাদের দিকে যেতে থাকলাম।
ছাদে অনেক আলো অনেক হৈ হুল্লর আমার ভোখ শুধু অনুকেই খুজে যাচ্ছে।এমন সময় ডেকোরেশোনের লোক এসে বলল আপনি খেয়েছেন আমি মাথা নাড়িয়ে না বল্লাম।
আমাকে ধরে একটি টেবিলে বসিয়ে দেওয়া হলো টেবিলে শুধু খাবার আমি আর কিছু না বলে খাওয়া শুরু করে দিলাম।
এমন সময় দেখতে পেলাম অনুর বাবা আমার দিজে আসতেছে।সাথে অনু অনুর মা আরো অনেকে।সবাই আমার দিকে চেয়ে রয়েছে মনে হচ্ছে আমি খাবার না ওনাদের খেয়ে ফেলেছি।
সবাইকে একসঙ্গে আসতে দেখে মনে হচ্ছিল আমাকে গনধুলায় দিবে।আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম…
বলতে শুরু করলাম..
–আ-আ-আমাকে ক্ষমা করে দিন।সামনের নাসে টিউশনির বেতেন পেলেই খাবারের সব টাকা দিয়ে দেব।আমি ভুল করে খেয়ে ফেলছি স্যারি আমাকে মাফ করে দেন।
কথা শেষ হতেই আমাকে চমকে দিয়ে অনুর বাবা বলতে শুরু করল…
–আরে মেয়ের জামায় খাবে না তো কে খাবে বল তো..??
মেয়ের জামাই?? হাইরে মোর খোদা খাবারের শোকে মনে হয় অনুর বাবা পাগল হয়ে গেছে।এখন কি করব আমি আমাকে তো এবার জেলে দিবে।আমি মনে ঈশ্বরকে ডাকা শুরু করি।এখন একমাএ উনিই আমাকে বাঁচাতে পারের।হাইরে ফেঁসে গেলাম।কি করি এখন..
তখন হঠাৎ সামনে দেখি আমার বাবা মা আর নিরব।হাইরে কপাল আমার সাথে কি আমার বাবা মাকেও জেলে দিবে সাথে নিরবকে ও...বাবাকে প্রশ্ম করলাম তোমরা এখানে…
বাবা কে উওর না দিতে দিতে দিয়ে নিরব উওর দিল..
–শুভ ভাই অনু আপুর সাথে আপনার বিয়ে আপনারার তো আবার বিয়েতে ভয়।তাই নাটক করতে হলো।কারন শুধু কনে কে দিয়ে তো বিয়ে হয় না বর ও লাগে।
নিরবের কথা শেষ হতেই অনু বলা শুরু করল…
–আজকালের প্রেমিক রা অনেক ভিতু হয়। বিয়ের কথা বললে হাটু কাপে।আবার যদি হয় বেকার তাইলে তো কথাইনেই।আরে বেটা তুই কবে চাকরি পাবি তসর জন্য আমি বুড়ি হয়ে বসে থাকব নাকি।তাই তো তোর কাজটা আমি করে দিলাম তোর বাবা মাকে বুঝিয়ে আমার বাড়িতে নিয়ে আসলাম।
অতপর,অনুর সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেল।কিন্তু সবকিছু আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।আসলেই আমি ছেলে হয়ে যা করতে পারলাম না তা একজন মেয়ে করে দেখালো।আসলেই মেয়েরা সব পারে।কিন্তু এখন ওকে নিয়ে কই যাব আমার নিজেরই চলে না তারউপর আবার একজন।মেসেও এলাও করবে না কারন সিঙ্গেল থেজে ডাবল হইছি।
গল্পটার বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নাই পুরোটা কাল্পনিক।
“”””সমাপ্ত””””